Class 9 Economics 8th Week Assignment Answer – নবম শ্রেণীর অর্থনীতি এসাইনমেন্ট ২০২২

Dear Class 9 Students, Today we have appeared Class 9 Economics 8th Week Assignment Answer. Are you looking for 8th week economics assignment questions? The answers to the 8th week Economics Assignment questions in this post are now available here. Class 9 Economics Assignment 8th week I have prepared the answer 100% correctly. The answer is uploaded in this post. So Class 9 Economics 8th Week Assignment Answer Read the whole post.

Class 9 Economics 8th Week Assignment Answer. নবম শ্রেণীর অর্থনীতি এসাইনমেন্ট ২০২২ সমাধান। ৮ম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট উত্তর। অর্থনীতি এ্যাসাইনমেন্ট ৯ম শ্রেণি 2022। Economics 8th Week Assignment Answer. Economics Class 9 Assignment Answer. First of all visit www.chakrirresult.com to get answers to various notices or assignments related to education.

Quick Link

Assignment Class 9

Class 9 is very important for every student. After passing class 9, each student has to choose the category. One of the major subjects in the science department is Economics. It is difficult to master Economics without regular practice. As the school has been closed for a long time, the learning process of class 9 students has been continued through the assignment of the Ministry of Education. Economics has been given in the eighth week assignment syllabus. There was a request to read the whole post to get class 9 Economics answers.

Class 9 Economics Assignment 2022 PDF

8th Week Assignment Class 9

DSHE has published the assignment syllabus of 8 subjects in total. At this stage we are discussing Economics. Class 9 Economics 8th Week Assignment Answer Available here. Do you want answers with 8th week assignment questions? We have everything in this post. We have assignment solutions for all subjects of 8th week of class 9 with our side www.chakrirresult.com You can download whatever you need. In the 8th week of class 9,


8th Week Assignment Class 9

Class 9 Economics Assignment 8th Week

All educational institutions in the country are closed for Covid 19. As it is closed, the reading of writing of class 9 students has stopped. However, from the very beginning, the Ministry of Education has continued the learning process of the students through Songsad Television. But the assignment was introduced as the students could not be assessed. Class Nine students must submit Economics assignments. Read to the end to see the 8th Week Economics Assignment Answer Class Nine. Advanced Math is for Class 9 Science students only.

Class 9 Economics Assignment 8th Week

নবম শ্রেণীর অর্থনীতি অষ্টম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট ২০২২

শ্রেণি: ৯ম, এ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজের ক্রমঃ এ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজ-২, অধ্যায় ও অধ্যায়ের শিরােনামঃ প্রথম অধ্যায়: অর্থনীতি পরিচয়

পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত পাঠ নম্বর বিষয়বস্তুঃ ১.১ অর্থনীতির উৎপত্তি ও বিকাশ, ১.২ দুটি মৌলিক অর্থনৈতিক সমস্যা : দুষ্প্রাপ্যতা ও অসীম অভাব।, ১.৩ অর্থনীতির ধারণা, ১.৪ অর্থনীতির দশটি নীতি ১.৫, আয়ের বৃত্তাকার প্রবাহ (দুটি খাত), ১.৬ বিভিন্ন ধরনের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা;

এ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজঃ ‘আমরা কি উৎপাদন করবাে? উৎপাদনে কি প্রযুক্তি ব্যবহার করবাে? উৎপাদিত পণ্য কাদের জন্য প্রযােজ্য? – এই প্রশ্নগুলাের উত্তর প্রদানই হচ্ছে একেক দেশের, একেক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার প্রধান কাজ।’ এ সম্পর্কে ৩০০ শব্দের মধ্যে একটি প্রবন্ধ লিখ।

সংকেত: ১. সূচনা, ২. বিভিন্ন অর্থব্যবস্থার বর্ণনা, ৩. বিভিন্ন অর্থব্যবস্থার মধ্যে তুলনা, ৪. উপসংহার;

নির্দেশনাঃ পাঠ্যপুস্তক/ইন্টারনেট ও শিক্ষকের সহায়তায় বিভিন্ন অর্থনৈতিক ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে ধারণা নিবে। সহপাঠী/শিক্ষক/ ও অভিভাবকের কাছ থেকে জেনে বিভিন্ন অর্থ ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্যর মধ্যেকার তুলনা করতে পারবে।

Class 9 Economics Assignment Answer 8th Week

Class 9 students will be assessed on the 8th week of Economics Assignment Answer. You must write a Economics assignment and submit it to the class teacher. If you want to get good marks in class 9 Economics assignment, then you have to read the Economics board book by NCTB of class 9. We are helping you to get better marks by answering Economics assignments. The answer given by us has been uploaded in PDF below. You can download as much as you want. We have created 100 percent correct class 9 Economics assignment answers for you.

নবম শ্রেণির ৮ম সপ্তাহের অর্থনীতি এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর

সূচনা:

আজকের যে অর্থনীতি আমরা পড়ি, তা পূর্বে এতটা জটিল ছিল না। সনাতন বা আদিম সমাজে মানুষের জীবনযাপন ছিল অত্যন্ত সহজ সরল । খাবার দাবার, কাপড় চোপড় এবং বাড়িঘর- এসবই ছিল মানুষের মৌলিক চাহিদা। দ্রব্য সামগ্রী বিনিময়ের

রীতি ছিল খুব সীমিত । মূলত মানুষের কায়িক পরিশ্রম ছিল উৎপাদনের একমাত্র উপকরণ। সমাজে কোনাে শ্রেণিভেদ ছিল না। দশে মিলে করি কাজ, হারি-জিতি নাহি লাজ’- এই ছিল আদিম সমাজের মূলমন্ত্র। উৎপাদন ও ভােগ ছিল ঐ সমাজের প্রধান বিষয়। হযরত মুসা (আঃ) এর সময়ে অর্থাৎ ২৫০০ খ্রিষ্টপূর্ব হিব্রু (Hebrew) সভ্যতার যুগে ধর্মগ্রন্থে বা | দর্শনের বইয়ে অর্থনীতি বিষয়ে সরলভাবে কিছু আলােচনা হতাে। আইন, ধর্ম, নৈতিকতা, দর্শন এবং অর্থনীতি তখন একসঙ্গে আলােচিত হতাে। অর্থনীতি বিষয়ের আলাদা কোনাে অস্তিত্ব ছিল না । উৎপাদন, ভােগ ও দৈনন্দিন সংসার পরিচালনার বিদ্যাকেই তখন অর্থনীতি বলা হতাে।

অর্থনীতির সংজ্ঞা:

অধ্যাপক এল, রবিন্স প্রদত্ত অর্থনীতির সংজ্ঞা অধ্যাপক আলফ্রেড মার্শাল সম্পদের চেয়ে মানবকল্যাণের উপর অধিক গুরুত্ব আরােপ করেন। তিনি বলেন, “অর্থনীতি মানবজীবনের সাধারণ কার্যাবলি আলােচনা করে।” অর্থনীতির মূল আলােচ্য

বিষয় মানুষের অর্থ উপার্জন এবং অভাব মােচনের জন্য সেই অর্থের ব্যয়। অর্থাৎ অর্থনীতির মূল উদ্দেশ্য হলাে মানুষের কল্যাণ সাধন। প্রাচীন ভারতে চতুর্থ খ্রিষ্টপূর্বে কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্রে বৃহত্তর পরিসরে সারা দেশের রাজনীতি, সমাজ, অর্থনীতি ও সামরিক বিষয়ের উপর আলােকপাত করা হয় । ষােড়শ শতাব্দীর শেষভাগ থেকে অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষভাগ পর্যন্ত (১৫৯০-১৭৮০) ইংল্যান্ড, ফ্রান্স ও ইতালিতে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের যে প্রসার ঘটে,

তাকে বাণিজ্যবাদ’ (Mercantilism) বলা হয়। দেশের ধন-সম্পদ বৃদ্ধি, রাষ্ট্রের ক্ষমতা বৃদ্ধি ও বাণিজ্য উদ্বৃত্তকরণের লক্ষ্যে ইংল্যান্ডের ব্যবসায়ীরা বেশি রপ্তানি করত এবং খুব সামান্যই আমদানি করত । ইংল্যান্ডের উৎপাদিত পণ্য পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে প্রচুর পরিমাণে রপ্তানি করে মূল্যবান ধাতু (সােনা, রুপা, হীরা ইত্যাদি) আমদানি করা হতাে। অষ্টাদশ শতাব্দীর মধ্যভাগে ফরাসিরা সে দেশের ধনী মানুষের বিলাসী জীবনযাপন, অতিরিক্ত করারােপ

এবং ইংল্যান্ডের বাণিজ্যবাদের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে ভূমিবাদ (Physiocracy) মতবাদ প্রচার করেন । ভূমিবাদীদের মতে, কৃষিই (খনি ও মৎসক্ষেত্রসহ) হলাে উৎপাদনশীল খাত । অন্যদিকে শিল্প ও বাণিজ্য উভয়ই অনুৎপাদনশীল খাত হিসেবে মনে করা হতাে। এভাবেই প্রাচীন এবং মধ্যযুগে অর্থনীতিবিষয়ক আলােচনা ক্রমশ নানা বিষয়ের

সমন্বয়ে জটিল হতে থাকে। রাজনৈতিক অর্থনীতি একটি স্বতন্ত্র বিষয় হিসেবে স্বীকৃতি পায়, যখন ইংরেজ অর্থনীতিবিদ অ্যাডাম স্মিথ ১৭৭৬ সালে তার বিখ্যাত বই “An Inquiry into the Nature and Causes of the Wealth of Nations” রচনা করেন। আধুনিক অর্থনীতির মূল ভিত্তি হলাে অ্যাডাম স্মিথের এ বইটি।

বিভিন্ন ধরনের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা

আমরা জানি, অর্থনীতি হচ্ছে চয়ন বা নির্বাচনের (Choice) বিজ্ঞান। এটাও আমরা শিখেছি যে অর্থনীতি সীমিত সম্পদ ব্যবহার করে সর্বোচ্চ উৎপাদন, সর্বোচ্চ ভােগ এবং সর্বোচ্চ কলাণ সাধনের জন্য সঠিক পথটি বাছাই করার নিরন্তর চেষ্টা চালায়, সে জন্য অর্থনৈতিক ব্যবস্থা সর্বদা তিনটি প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে

ক) আমরা কী উৎপাদন করব এবং কী উৎপাদন করব না? যেমন: আমরা কি বন্দুক উৎপাদন করব, না কি কাপড় উৎপাদন করব ?

খ) আমারা যা উৎপাদন করতে চাই, তা উৎপাদন করার জন্য কী ধরনের প্রযুক্তি বা যন্ত্র ব্যবহার করব? কাপড় কি আমরা শ্রম নিবিড় প্রযুক্তি তাঁত দিয়ে তৈরি করব, না কি পুঁজি নিবিড় মেশিনে তৈরি করব?

গ) আমরা যা উৎপাদন করব তা আমরা কাদের জন্য করব ? কারা এটা ভােগ করবেন?

১। বাজার পদ্ধতি বা ধনতান্ত্রিক পদ্ধতি (Market System or Capitalist System)

ক) এই পদ্ধতিতে সমস্ত সিদ্ধান্তই বাজারের যুক্তি অনুযায়ী নির্ধারিত হবে। যেমন- যে পণ্যের চাহিদা বাজারে বেশি হবে এবং যার দাম বেশি হবে, সেটাই বেশি বেশি করে উৎপাদিত হবে। বাজারের আপেক্ষিক চাহিদাই নির্ধারণ করে দেবে উৎপাদনের বিন্যাস।

খ) যে প্রযুক্তিতে একটি পণ্য তৈরি করার বাজার নির্ধারিত খরচ সর্বনিম্ন, সে প্রযুক্তি ব্যবহার করেই ঐ পণ্য তৈরি হবে।

গ) বাজারে যে উৎপাদন উপকরণের দাম যেরকম নির্ধারিত হবে, তার মালিকরা ঠিক সেরকম আয় ও ভােগ করবেন।

সুতরাং দেখা যাচ্ছে এ ব্যবস্থায় বাজার দ্বারাই উপকরণের মালিকদের এবং ক্রেতা-বিক্রেতার প্রতিযােগিতার মাধ্যমে নির্ধারিত হচ্ছে কী উৎপাদিত হবে, কীভাবে উৎপাদিত হবে এবং উৎপাদনের বণ্টন কি রকম হবে। ক্রেতা-বিক্রেতা হচ্ছেন ব্যক্তি

গতভাবে সমস্ত সম্পদের তথা উৎপাদন উপকরণের ব্যক্তি মালিক এবং বাজারে তাদের আন্তক্রিয়ার মাধ্যমেই এসবের দাম ও অন্য সবকিছু নির্ধারিত হয়।

২। নির্দেশমূলক পদ্ধতি (Command System)

এই পদ্ধতিতে কি উৎপাদন হবে, তা নির্ধারণ করে দেয় কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষ। এখানে সমস্ত সম্পদ ও উৎপাদন উপকরণের মালিক হচ্ছে রাষ্ট্র বা সমাজ। তাদের প্রতিনিধি হিসাবে কেন্দ্রীয় পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ই চূড়ান্ত বিচারে কী উৎপাদিত হবে, তার জন্য কী প্রযুক্তি বাছাই হবে, কার কী দাম হবে, কার কী আয় ও ভােগ হবে ইত্যাদি সব নির্ধারণ করেদেন। তাদের এই আদেশ অনেকটা আইনের মতাে সকল অর্থনৈতিক খেলােয়াড়কে মেনে চলতে হয়। তাই এই ব্যবস্থাকে নির্দেশমূলক ব্যবস্থা (Command System) হিসেবেও অভিহিত করা হয়। এ ব্যবস্থায় ব্যক্তি স্বার্থ বা মুনাফার চেয়ে সামাজিক স্বার্থ বা সামাজিক কল্যাণকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়।

৩ l প্রথাগত অর্থনৈতিক ব্যবস্থা (Traditional Economic System)

পৃথিবীতে কোনাে কোনাে প্রাচীন সমাজে যে আদিম অর্থনীতি রয়েছে, সেখানে রাষ্ট্রীয় বা পরিকল্পনা কমিশন বা মুক্তবাজারের কোন শক্তিশালী উপস্থিতি নেই। সেসব সমাজে ব্যক্তি সচরাচর ধর্মীয় মূল্যবােধ বা আবহমানকাল ধরে চলে আসা বাবা-দাদাদের প্রথা অনুযায়ী অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও পরিচালনা করেন।

এ সব অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় যেহেতু প্রথা ও সামাজিক বিশ্বাসই সবকিছু নির্ধারণ করে দেয় (অর্থাৎ কী উৎপাদন হবে, কী ভােগ করা যাবে, কোন প্রযুক্তি গ্রহণ করতে হবে, কারা বেশি পাবে, কারা কম পাবে ইত্যাদি সকল কিছু) সেহেতু এসব অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে প্রথাগত অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বলা হয়। আমাদের দেশে আদিবাসী জনগােষ্ঠীর অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বা যুক্তরাষ্ট্রের আদিম সম্প্রদায়ের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বা কোন কোন ইসলামি দেশে ইসলামি শরিয়া ভিত্তিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে আমরা এই ধরনের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার অন্তর্ভুক্ত করতে পারি।

ইসলামি অর্থনৈতিক ব্যবস্থা (Islamic Economic System)

ইসলামের মৌলিক নিয়ম-কানুনের উপর বিশ্বাসকে ভিত্তি করে গড়ে ওঠা অর্থব্যবস্থাকে ইসলামি অর্থব্যবস্থা বলা হয়।

ইসলামি অর্থনৈতিক ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য (Characteristics of Islamic Economy) ইসলামী অর্থব্যবস্থায় পৃথিবীর যাবতীয় সম্পদ মানবজাতির কল্যাণে ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে। এ ব্যবস্থার উল্লেখযােগ্য প্রচলিত বৈশিষ্ট্যগুলাে নিম্নরূপ:

১। ইসলাম ধর্মে বিশ্বাস: ইসলামি অর্থনীতির মূলনীতিমালা ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসীদের ধর্মীয় দর্শন, ধর্মগ্রন্থের বিধান ও ধর্মীয় প্রচলিত প্রথা ও বিধি-বিধান অনুযায়ী প্রণীত ও পরিচালিত হয়।

২। সুদমুক্ত আমানত: ইসলামি অর্থনীতিতে সুদ গ্রহণের স্বীকৃতি নেই। এখানে ব্যাংক-ব্যবস্থায় সুদমুক্ত আমানতের ব্যবস্থা করা হয় ।

৩। যাকাত ও ফিতরা: এ ব্যবস্থায় যাকাতভিত্তিক বণ্টন ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে যাকাত ও ফিতরার মাধ্যমে ধনীদের নিকট থেকে অর্থ গ্রহণ করে তা দরিদ্রদের মধ্যে বণ্টন করা হয়।

ধনতান্ত্রিক ও সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থার মধ্যে তুলনা:

ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা

  • প্রথমত, ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা হচ্ছে এমন একটি অর্থনৈতিক ব্যবস্থা যেখানে মুক্তবাজার এবং ব্যক্তিমালিকানা বিদ্যমান l অর্থাৎ সম্পদের মালিকানা উৎপাদন ও বন্টন ভোগ ইত্যাদি ক্ষেত্রে ব্যক্তির পূর্ণ স্বাধীনতা থাকে l
  • দ্বিতীয়ত, অর্থ ব্যবস্থায় বাজার ব্যবস্থা বিদ্যমান l জনগণ উৎপাদনের উপকরণ সমূহের মালিক l মুনাফার উদ্দেশ্যে দ্রব্য বা সেবার উৎপাদিত এবং বিক্রি হয়ে থাকে l
  • মূলধনের ওপর ভিত্তি করে এ ধরনের অর্থব্যবস্থায় সমাজের শ্রেণী বৈষম্য দেখা যায় l কিছুসংখ্যক পুঁজিপতি বাধন লোকের হাতে উৎপাদনের উপায় সমূহ কুক্ষিগত থাকে l অন্যদিকে শ্রমজীবী মানুষ তাদের মজুরি বা বেতনের উপর নির্ভর করে l এখানে শ্রেণি বিরোধ বিদ্যমান l
  • এখানে স্বয়ংক্রিয় বাজার ব্যবস্থা বা অবাধ প্রতিযোগিতা বিদ্যমান l

সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা

  • সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা হচ্ছে এমন একটি অর্থনৈতিক ব্যবস্থা যেখানে সকল সম্পদ ও ক্ষমতা রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণাধীন l অর্থাৎ এখানে ব্যক্তিগত মালিকানা নেই এবং উৎপাদন বন্টন ভোগ ইত্যাদি ক্ষেত্রে ব্যক্তির স্বাধীনতা থাকে না l
  • এই অর্থব্যবস্থায় উৎপাদনের উপায় সমূহের মালিকানা রাস্ট্র বা কেন্দ্রীয় সরকারের l এখানে সামাজিক কল্যাণ সাধনের লক্ষ্যে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয় l
  • এ অর্থব্যবস্থায় যেহেতু সমাজে যার যার অবদান অনুযায়ী আইয়ের বন্টন হয়ে থাকে সেহেতু শ্রেণী বৈষম্য নেই l এ কারণে শ্রেণী শোষণও নেই l
  • স্বয়ংক্রিয় বাজারব্যবস্থা বা অবাধ প্রতিযোগিতা নেই l
ইসলামী অর্থব্যবস্থা (Islamic Economic System)

ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। ইহা মানব জীবন ও সমাজের প্রতিটি ধাপে প্রয়ােজনীয় বিধি-বিধান ও পথ নির্দেশনা প্রদান করে। ইসলামী অর্থনৈতিক ব্যবস্থা শরীয়াহ এর আলােকে প্রতিষ্ঠিত। শরীয়াহ এর মূল ভিত্তি হচ্ছে কুরআন ও সুন্নাহ।

যে অর্থব্যবস্থায় আল্লাহর বিধান অনুযায়ী অর্থনৈতিক কার্যাবলী পরিচালিত হয় এবং কুরআন ও সুন্নাহর আলােকে অর্থনৈতিক সমস্যার সমাধান করা হয় তাকে ইসলামী অর্থব্যবস্থা বলে। এ ধরনের অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় মানুষ জাতি ও সমাজের কল্যাণ সাধনে সীমিত সম্পদের ব্যবহার ও নিয়ন্ত্রণ নিয়ে মানুষের আচরণ বিশ্লেষণ করা হয়।

মিশ্র অর্থব্যবস্থা (Mixed Economic System)

ধনতান্ত্রিক ও সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থার সংমিশ্রণই হচ্ছে মিশ্র অর্থব্যবস্থা। অর্থাৎ মিশ্র অর্থব্যবস্থা এমন একটি অর্থনৈতিক ব্যবস্থা যেখানে উৎপাদন, ভােগ, বণ্টন ইত্যাদি অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে স্বয়ংক্রিয় বাজার ব্যবস্থার সাথে সাথে সরকারি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার সংমিশ্রণ ঘটে।
এ ধরনের অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় অনেক অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত ব্যক্তি বা ফার্ম বাজার ব্যবস্থার মাধ্যমে নিয়ে থাকে। আবার সরকারও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বর্তমান সময়ে কোন অর্থনৈতিক ব্যবস্থাই বিশুদ্ধ ধনতান্ত্রিক বা বিশুদ্ধ সমাজতান্ত্রিক নয়। অধিকাংশ গণতান্ত্রিক দেশসমূহে এ দু’ধরনের অর্থব্যবস্থার বৈশিষ্ট্যসমূহ দেখা যায়। অর্থাৎ এসব দেশে মিশ অর্থনীতি বিদ্যমান। যুক্তরাজ্য, কানাডা, জাপান, ভারত, বাংলাদেশসহ বিশ্বের অধিকাংশ দেশে মিশ্র অর্থব্যবস্থা প্রচলিত।

উপসংহার:

এভাবে ইসলামী অর্থনীতি ধনতান্ত্রিক ও সমাজতান্ত্রিক উভয় প্রকার অর্থনীতি থেকে পৃথক। ইসলামী দৃষ্টিকোন থেকে ধনতান্ত্রিক অর্থনীতিতে অর্থনৈতিক স্বাধীনতার পরিমাণ মাত্রাতিরিক্ত, আবার সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতিতে তা খুবই সংকীর্ণ। ইসলামী অর্থনীতি একটি তত্ত্বীয় পন্থা যা। অর্থনৈতিক স্বাধীনতাকে কাম্য স্তরে সীমিত করে।

Read More:

Class 9 Higher Math 8th Week Assignment Answer

English Assignment 2022 Answer Class 8

Class 7 English Assignment Answer 2022 8th Week 

Agriculture (Krishi) Assignment Class 9 Answer 2022 8th Week 

Class 9 assignment Bangla Answer 2022 8th Week

Get: Class 9 Assignment Answer

Consequences: 

So far we have answered all the assignments in class 9. Which is very important for class 9 students. Later again we will share all types of assignment answers.

Leave a Comment